আজ আমরা এই নিবন্ধটির দ্বারা জানব প্রচলিত একটি অনলাইন পার্ট টাইম জব ফ্রিল্যান্সিং কি?এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের তালিকা 2023 সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানব। আপনারা যদি কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে চান ,তবে ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি চমৎকার টাকা উপার্জনের উপায়।
আপনারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং একই সাথে আপনি যদি কোনো জায়গায় করে থাকেন, সেক্ষেত্রেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন। এই ইন্টারনেট যুগে ইউটুব,ব্লগগিং এবং ফ্রিল্যান্সিংকে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সেরা উপায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই আমরা এখন জানব ফ্রিল্যান্সিং কি? এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের তালিকা।
ফ্রিল্যান্সিং কি ?
ফ্রিল্যান্সিং হলো এখনকার সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় উপায়।যেখানে আপনার সময় অনুসারে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পাবেন।এর জন্য আপনাকে ইন্টারনেটে মজুদ বিভিন্ন জনপ্রিয় freelancing এর ওয়েবসাইটে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে একটি account তৈরী করতে পারেন। এখানে আপনার freelancing Skills এবং Experiance এর উপরে ভিত্তি করে আপনি Clients এর কাছে টাকা চাইতে পারেন।
সহজভাষায় বললে, ফ্রিল্যান্সিং হলো কোনো কোম্পানি নির্দিষ্ট সময়ের চাকরির পরিবর্তে আপনার পছন্দ মতো সময়ে কোনো Skills দিয়ে Clients এর কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং উপকারিতাগুলো কি কি?
নীচে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলেছি।যথা –
- আপনার সময় অনুযায়ী Clients এর জন্য freelancing করতে পারেন।
- এখানে আপনাকে এক টাকাও বিনিয়োগ করতে হবে না।
- আপনি freelancing এর কাজকর্মগুলি বাড়িতে বসে করতে পারবেন।
- কোনো প্রকারের ১০ থেকে ৫ সময়ের চাকরি করতে হবে না।
- আপনি কত টাকায় Clients জন্য কাজ করবেন,তা আপনি স্থির করতে পাবেন।
- স্টুডেন্টরা নিজেদের পড়াশোনার সাথে freelancing করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কি প্রয়োজন?
আপনার নিজস্ব কোনো দক্ষতা দিয়ে ইন্টারনেটে মজুদ যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। কিন্তু তাঁর জন্য আপনাকে বেশ কিছু সামগ্রীর প্রয়োজন হবে। নীচে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন লাগবে,তাঁর সম্পর্কে বলেছি।
- আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে।
- ফ্রিল্যান্সিং করার ইন্টারনেট Connection দরকার হবে।
- একটি Personal Skill এর দরকার হবে।(আপনি যেই বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে,সেটিতে শুরু করুন )
- একটি নির্দিষ্ট সময় বের করা এবং Email ID এর প্রয়োজন হবে।
- আপনার নামে একটি Paypal Account থাকতে হবে।
কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
- ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করার আগে আপনি যে বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে, সেটিতে নিজেকে আগে এক্সপোর্ট তৈরি করুন। যখন আপনি সেই বিষয়ে পুরোপুরি এক্সপার্ট হয়ে যাবেন, তখন আপনি বেশি করে Clients পেয়ে থাকবেন।
- আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সময় দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বের করুন।
- এরপরে আপনি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলিতে জিমেইল আইডি দিয়ে একাউন্ট তৈরী করুন।
- ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট একাউন্ট তৈরি করার পরে Clients -দের আকর্ষণ করার জন্য আপনার প্রোফাইলটি ভালো ধরনের অপটিমাইজ করতে পারেন।
- আপনি যখন কোনো Clients এর কাছে কাজ খুঁজে পাবেন, তখন আপনি আপনার কাজটি clients এর দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ে সম্পূর্ণ করে ডিলিভার করুন।
কীভাবে মোবাইল থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো?
আমাদের মধ্যে অনেকের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকার কারণে তাঁদের সবার মনে প্রশ্ন এসে থাকে যে তারা কি মোবাইল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।হ্যাঁ আপনারা মোবাইল থেকেও ফ্রিল্যান্সিং করতে এবং শিখতে পাবেন।কিন্তু আপনি অল্প সময়ের মধ্যে যেভাবে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন,তা কিন্তু আপনি মোবাইল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না। নীচে আমরা মোবাইল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজগুলো করতে পারেন,সেগুলি নীচে আলোচনা করেছি –
- Logo Designing
- Video Editing
- Photo Editing
- Banner Create
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
1. Fiverr
Fiverr হলো একটি সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, এখানে বিশ্বের সকল ফ্রীল্যাঞ্চের নিজের Skills অনুসারে ক্লায়েন্টসদের পরিষেবা প্রদান করতে পাবেন। আপনি এই ওয়েবসাইট content writing থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের মতো কাজগুলি করতে পারেন।
আপনার ব্যক্তিগত Skills Upgrade করে বিশ্বের সেরা ক্লায়েন্টসদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। এখানে আপনার জন্য অনেক কাজ রয়েছে। এবং একই সাথে Fiverr সমস্ত ধরণের ফ্রীল্যাঞ্চেরদের জন্য কোর্সগুলি প্রদান করে থাকে।
2. Upwork
Upwork হলো নতুন ফ্রিল্যাঞ্চেরদের জন্য এমন একটি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট ৷ আপনি যদি Upwork এর মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারর জন্য অনেক বেশি লাভবান হতে পারে।
এই ওয়েবসাইটটিতে অনেক সুযোগসুবিধা আছে, যার ব্যবহার আপনার ফ্রীল্যান্স clients খোঁজার জন্য করতে পারেন। আপনি এই ওয়েবসাইটটির সাথে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য খুব ভাল হতে পারে।
3 Freelancer.com
সকল নতুন এবং অভিজ্ঞ freelancher দের জন্য Freelancer.com হলো অন্যতম জনপ্রিয় freelancing website.বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি freelancher ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে।এখানে আপনি বড় কোম্পানিগুলির পাশাপাশি ছোট কোম্পানির সাথে কাজ করতে পাবেন। আপনার Skills অনুসারে কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি?
ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ আলাদা আলাদাভাবে বহু প্রকারের হয়ে থাকে। যার কয়েকটি সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হয়। যথা –
Freelance Writer
বর্তমান যুগে আপনি ইন্টারনেটের ব্যবহার করে Freelance Content Writer এর কাজ করে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি এইসব ক্ষেত্রের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অনলাইন মার্কেটিংয়ের জন্য Content Writing করে নিজের ভবিষ্যত তৈরি করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার তৈরী করার জন্য কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না।আপনি আপনার Clients এর ওয়েবসাইটের Content লিখে প্রতি মাসে ২০,০০০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পৰ্যন্ত আয় করতে পারেন।
Freelance Editor
বর্তমান সময়ে প্রতিটি লোকেরা ভিডিও দেখতে পছন্দ করার কারণে একজন Freelance Video Editor এর চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আপনি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির ফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনের জন্য Editor হিসাবে কাজ করে আপনার ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারেন।
Graphic Designer
বর্তমান বিশ্বে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এর চাহিদা প্রতিদিন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আপনি যদি পড়াশোনা গ্রাফিক ডিজাইনিং নিয়ে করে থাকেন,তবে আপনি বিভিন্ন IT সংস্থাগুলির সাথে ফ্রীল্যান্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
আজকের সময়ে বিভিন্ন কোম্পানি একজন freelance Graphic Designer এর জন্য উচ্চ চাহিদা সম্পূর্ণ ফ্রীল্যান্সারকে বেশি পরিমাণে টাকা দিয়ে Hire করে থাকেন। আপনার এই দক্ষতার বিকাশ করতে আপনি ইউটিউব এবং ইন্টারনেটে মজুদ অনলাইন কোর্স ইত্যাদি করে নিজের ভবিষ্যত তৈরি করতে পারেন। আপনার ভিতরে এই দক্ষতার বিকাশ করে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন।
App Development
বর্তমানে যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়ছে,তাতে আগামী ভবিষ্যৎতে App Development একটি নজরকারা ভবিষ্যৎ তৈরী করতে পারেন। আপনি এই সেক্টরে সাফল্য অর্জনের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ব্যবহারকারী ভাষা যেমন – C, C++,Java এবং Python এর জ্ঞান থাকার প্রয়োজন আছে। আপনি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলিতে একাউন্ট তৈরী করে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে কত ইনকাম করতে পারবেন?
আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত আয় করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ আপনার দক্ষতা এবং Clients-দের কাছে Expericence এর উপরে ভিত্তি করে আয় করেন। যদি আপনি সময়ের সাথে নতুন Skills Development করতে পারেন এবং সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করতে থাকেন ,তবে আপনি ঘরে বসেই ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পৰ্যন্ত প্রতিমাসে উপার্জন করতে পারেন।