Youtube কি?এর ইতিহাস এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন?

ইউটিউব কি? বর্তমানে প্রতিটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ইউটিউব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির নাম অবশ্যই শুনে থাকবেন। এবং এই ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে দীর্ঘ থেকে ছোট ভিডিও দেখে থাকি।

আপনারা ইউটিউবে সবধরণের বিষয়ের ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। যার দ্বারা ইন্টারনেট ইউজাররা বিনোদন পাওয়া থেকে শুরু করে জ্ঞান অর্জন করতে ব্যবহার করে।কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইউটিউব কি?এর ইতিহাস সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে ইউটিউব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।

ইউটিউব কি?

ইউটিউব হলো বর্তমানে সর্বাধিক ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন। এই প্ল্যাটফর্মটিতে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়।এছাড়াও এটিতে আপনারা ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন।এই ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটিতে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ এর বেশি ভিডিও আপলোড করা হয়ে থাকে।

সারা পৃথিবী জুড়ে গুগলের পরে ইউটিউব সবথেকে বেশি সার্চ করা ওয়েবসাইট।আপনারা এই প্ল্যাটফর্মটিতে নিজের জ্ঞান শেয়ার করে ফেমাস ও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ইউটিউব এর ইতিহাস

ইউটিউব ওযেবসাইটটি Paypal এর মধ্যে কর্মরত Chad Hurley, Steve Chen এবং Javed Karim নামে তিন বন্ধু মিলে ২০০৫ সালে Youtube আবিষ্কার করেছিলেন।কিন্তু যখন Paypal পেমেন্ট সিস্টেমটি Ebay কিনে নিয়েছিল।সেই সময়ে বহু কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়। যার মধ্যে এই তিনজন বন্ধুও ছিল।

একদিন তিন বন্ধু মিলে একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন।তখন তাঁরা একে অপরকে একটি ভিডিও পাঠাতে চাইছিলেন।কিন্তু ভিডিওটির Size অধিক হওয়ার কারণে পাঠাতে পারেন না। তাঁরা অনুভব করেন যে আরও অনেক মানুষেরও ঠিক একই সমস্যা হচ্ছে। তাই এই সমস্যাটির সমাধান করার জন্য তিন বন্ধু মিলে Size বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করার সিদ্ধান্ত নেন।এবং অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ২০০৫ সালে Youtube নামে একটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটটি আবিষ্কার করেন।

কিন্তু এই প্ল্যাটফর্মটিকে ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে $1.65 বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে Google কিনে নেয়।বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটির সকল পরিষেবাগুলো গুগল দ্বারা পরিচালিত হয়।যা গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এটির মধ্যে প্রতি মিনিটে কোটি কোটি ভিডিও পাবলিশ করা হয়ে থাকে।

কীভাবে ইউটিউব ব্যবহার করবেন?

সাধারণত ইউটিউব ব্যবহার করার জন্য আপনার কাছে অন্ততঃপক্ষে একটি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তার পরে আপনার Android, Ios এবং Windows ডিভাইসটি খুলে Youtube.com এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটিতে পৌঁছানোর পর প্ল্যাটফর্মটি দুইভাবে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। একটি দিকে ভিডিও দেখা ইউজার্ এবং অন্যদিকে Creator আছেন,যারা কোনো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করে থাকে।

কীভাবে মোবাইলে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করবেন?

আপনারাও যদি ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটিতে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে বাড়িতে বসে অর্থ উপার্জন করতে চান।তবে আপনাদের এই প্ল্যাটফর্মটিতে একটি চ্যানেল তৈরী করতে হবে।তার পরে একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করার পর ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে হবে।

আপনারা মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও তৈরী করে আপলোড করতে চাইলে Kinemaster এবং Inshot এর মতো জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

ইউটিউব এর বৈশিষ্ট্য

ইউটিউব হলো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।এই ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটির মধ্যে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে,যা তাঁর ব্যবহারকারী দ্বারা অনেক বেশি পছন্দ করা হয়। তাহলে চলুন,এই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলির সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

Like এবং Dislike Button

আপনারা যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকবেন,তখন সেই ভিডিওটির একদম নীচে Like এবং Dislike Button এর বিকল্পটি দেখতে পাবেন।এই বাটনটি কোনো সাবস্ক্রাইবদের কোনো ভিডিও পছন্দ ও অপছন্দ প্রকাশের জন্য তৈরী করা হয়েছে। আপনার যদি কোনো ভিডিও পছন্দ হয়,তবে Like Button টিতে ক্লিক করতে পারেন। এবং কোনো ভিডিও অপছন্দ লাগলে Dislike বিকল্পটিতে ক্লিক করতে পারেন।

Youtube subscribe button

ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈশিষ্ট্য হলো subscribe button. এটি প্রতিটি ইউটিউব ক্রিয়েটরদের চ্যানেলের পাশে অপশনটি থাকে। আপনারাদের যদি কোনো ইউটিউবারের ভিডিও ভালো লাগলে Subscribe Button ক্লিক করে follow করতে পারেন।

Comments Option

এখানে আপনারা ইউটিউব ভিডিওটির ব্যাপারে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারেন।

Video Share Button

আপনার ইউটিউবে কোনো ভিডিও লাগলে এবং অন্যদের কাছে সেই ভিডিওটি শেয়ার করতে চান। তবে আপনি এই Share Button অপশনটিতে ক্লিক করে আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে পাবেন।

Video Download Button

,সাধারণত ইউটিউব ভিডিও দেখার জন্য স্মার্টফোনে ইন্টারনেট থাকা খুবই প্রয়োজনীয়।কিন্তু আপনাদের এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।কারণ ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করার বিকল্প অপশন দিয়েছে।যারা দ্বারা কোনো সময়ে ইন্টারনেট না থাকা সত্ত্বেও ভিডিও দেখার সুবিধা পাবেন।

Video Save Button

আপনার ইউটিউব ভিডিও দেখার সময়ে হঠাৎ করে অন্য প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তবে আপনারা ভিডিওটির Save বিকল্পটিতে ক্লিক করে নিজের সময় মতো দেখতে পারেন।

FAQs

ইউটিউব কি?

ইউটিউব হলো বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন।

ইউটিউব কে আবিষ্কার করেন?

২০০৫ সালে Paypal এর তিন কর্মচারী Chad Hurley, Steve Chen এবং Javed Karim মিলে ইউটিউব আবিষ্কার করেছিলেন।

Leave a comment